সংবাদচর্চা রিপোর্ট:
তিনি গেরিলা যোদ্ধা। অপশক্তির বিরুদ্ধে তিনি জ্বলে ওঠেন বারুদের মতো। অতীতেও রাজপথ কাপিয়েছেন, এখনও রাজপথ কাপাচ্ছেন। আন্দোলন করতে গিয়ে কখনো খালি হাতে ফেরেননি। ছাত্র অবস্থায় এদেশ থেকে বিতারিত করেন পাক সেনাদের। পেয়েছেন বীরপ্রতীক খেতাব। রাজনীতিতেও তিনি পটু। নেত্রীও তাকে সম্মান দিয়েছেন। দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় তিনি লড়াকু সৈনিক। মানুষের অধিকার আদায়ে বার বার তাকে রাজপথে নামতে দেখা গেছে। আওয়ামীলীগের আন্দোলন সংগ্রামে তার অবদান ভুলবার নয়। বলছি রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি,বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক এমপি’র কথা। বিএনপি ,জামায়াত যখন দেশে আবার সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, পুলিশের উপর হামলা করছে তখন আবার রাজপথে নেমে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করলেন তিনি। যেমনটা করেছিলেন ২০০১-২০০৭ সালে। গতকাল দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদসভা করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত ও দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করতে মন্ত্রী নিজে মাঠে রয়েছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকা রূপগঞ্জের ৭ টি ইউনিয়ন ও ২ টি পৌরসভার সাংগঠনিক খোঁজ খবর রাখছেন। বিএনপি যাতে রূপগঞ্জে নাশকতা করতে না পারে তার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদেরকে এলাকায় সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন । তার কর্মীরাও মাঠে রয়েছে। অনেক দিন পর মন্ত্রীকে মিছিলে পেয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ,অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা খুবই খুশি।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান সজিব বলেন, মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী কিছুদিন আগেও রাজধানীর আজগর আলী হসপিটালে চিকিৎসাধীন ছিলেন! হসপিটাল থেকে রিলিজের সময় ডাক্তার বার বার বলছিলেন স্যার আপনাকে ১৫ দিন ফুল বেড রেস্টে থাকতে হবে,আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে এবং সুস্থ থাকতে হবে,উনিও ঘার নেড়ে বললেন রেস্টে থাকবো। কিন্তু কে শোনে কার কথা! বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য প্রচেষ্টা রুখে দিতে এবং পুলিশের উপর হামলার প্রতিবাদে রূপগঞ্জে যখন প্রতিটা এলাকায় বিক্ষোভ চলছে, তখন আর নিজেকে ধরে রাখতে পাড়লেন না গোলাম দস্তগীর গাজী এমপি। আজ (গতকাল) হঠাৎ করে রূপগঞ্জের রাজপথে হাজির, রূপগঞ্জের রাজপথের রাজা,কর্মীবান্ধব জননেতা।
মন্ত্রী নিজেই স্লোগান ধরলেন —৭১ এর হাতিয়ার-
গর্জে উঠুক আরেকবার “
রূপগঞ্জের মাটি – শেখ হাসিনার ঘাটি,
রূপগঞ্জের মাটি – আওয়ামী লীগের ঘাটি
জয় বাংলা – জয় বঙ্গবন্ধু।
আওয়ামী লীগের আরেক নেতা বলেন, আমরা সত্যিই গর্বিত গোলাম দস্তগীর গাজী’র মত একজন নেতা পেয়ে। রূপগঞ্জবাসী গর্বিত গাজী সাহেবের মত কাজপাগল একজন সাংসদ পেয়ে। তিনি নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম পূর্ণমন্ত্রী। মন্ত্রী হিসেবে এলাকায় যা করা দরকার তিনি তাই করছেন। মন্ত্রীকে জেলার দেখে অন্য নেতারাও মাঠে থাকবে। অতীতেও কেন্দ্রীয় নেতারা মন্ত্রীর প্রশংসা করেছেন।
রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, আমাদেরকে আন্দোলন শেখাতে হবে না। কিভাবে রাজপথ দখল করতে হয় তা আমরা জানি। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার দল নয়। বঙ্গবন্ধু কখনো পালিয়ে যায়নি। আমরা শেখ হাসিনার কর্মী। বিএনপিকে নৈরাজ্য করতে দেওয়া হবে না।